শুধুমাত্র বটমওয়ারে পরিবর্তন এনেই ট্রেন্ডি স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করার সময় এখন। বলতে গেলে স্টাইলের ভেরিয়েশনের জন্য বটমওয়ারই এখন যথেষ্ট। প্রচলিত ফ্যাশন ভাবনায় প্রথমে মাথায় আসে ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যুতসই টপস। এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। ট্রেন্ডি বটমওয়ারকেই এই সময়ের ফ্যাশনিস্তারা পোশাকের প্রধান অনুসঙ্গে পরিণত করেছেন।
চলতি ধারায় বটমওয়ার
কিছুদিন আগেও একটি প্যান্ট বা পাজামার সাথে পাঁচ রকম টপস বা কামিজ পরে আলাদা আলাদা স্টাইল ক্রিয়েট করা যেত। সময় বদলেছে, এখন একটা টপসের সাথেই পাঁচ রকম বটমওয়ার চেঞ্জ করে ভিন্ন ভিন্ন স্টাইল ক্রিয়েট করার সময়। স্টাইলে বটমওয়ারকে গুরুত্ব দিয়ে রুচি, আধুনিকতা আর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলিয়ে নারীরা বেছে নিচ্ছেন্ পালাজ্জো, স্কার্ট, লেগিংস, কুলোটস, হারেম কিংবা ফরমাল প্যান্ট। বটমওয়ারে নানা কাট ছাট যুক্ত হওয়ায় ঘরে কিংবা বাইরে পোশাক নির্বাচনে আরাম আর স্টাইল দুই’ই নিশ্চিত করা পোশাক নির্বাচন আগের থেকে অনেক সহজ।
এই যেমন ধরা যাক- একটি টপ বা টিশার্টের সাথে হারেম প্যান্ট পরলে অনায়াসেই রিল্যাক্স ক্যাজুয়াল ভাইব নিয়ে আসা যায়। এই সময়ের কিশোরী ও তরুনীদের মাঝে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বোহেমিয়ান লুক। এজন্য একটি হারেম প্যান্টের সঙ্গে পছন্দসই টপ ইন করে কাঁধে রঙিন ঝোলা ব্যাগ ঝুলিয়ে নিলেই হয়ে গেল।
শহুরে কোলাহল ছেড়ে হলিডে ডেসটিনেশনে যাওয়া এখন সাধারণ নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্মব্যস্ত সময় পার করে ছুটির মুডে দিন কাটাতে চাইলে পোশাকেও আনা দরকার বিচ হলিডে বা রিসোর্ট লুক। সেজন্য মানানসই স্কার্টের সঙ্গে পছন্দসই টপস পরে নিলেই আপনি রেডি। অফিসের ব্যস্ত দিন? টপের সাথে ইন করে ফর্মাল বা কুলোটস প্যান্ট পরলে ঝটপট তৈরি করে নেওয়া যায় রুচিশীল এবং আধুনিক অফিস বা কর্পোরেট লুক।
ঘরের কথা’ই বা বাদ যায় কেন? ঘরের ফ্যাশনে প্রথমে চাই আরাম তার সঙ্গে সৌন্দর্যের ষোলআনা। এই চাওয়া নিশ্চিত করার জন্য স্ট্রেইট-কাট ও বেল-বটম স্টাইল পালাজ্জো
হতে পারে আদর্শ বটমস। তবে স্টাইলের অনুষঙ্গতো শুধু পোশাক নয় মেকআপ, হ্যান্ডব্যাগ আর জুতার দিকেও দিতে হয় বিশেষ নজর। গত কয়েকবছর ধরেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে ‘নো মেকআপ’ লুক। এতে করে স্বতস্ফুর্ত, স্বাভাবিক সৌন্দর্য যেমন ফুটে ওঠে, পরনের পোশাকটাও ফুটিয়ে তোলা যায় সহজে। সেই পোশাক হোক একরঙা কিংবা বাহারি প্রিন্ট। বলতে গেলে, ঘরে হোক বাইরে বা অফিসে, মেকআপ দিয়েই হোক বা অ্যাক্সেসরিজের বৈচিত্রে, ফোকাসটা পোশাকে রাখার সময় এখন। আর বটমস দিয়েই তা করা সম্ভব।
এখন যেমন বটমওয়ার
ভিসকোস, কটন-ব্লেন্ড ও ক্রেপ সিল্কে তৈরি হচ্ছে এই সময়ের বটমওয়ার। আর নান্দনিকতা ফুটিয়ে তুলতে পোশাকগুলিতে প্রাধান্য পাচ্ছে ট্রেন্ডি প্রিন্ট। আরামের দিক নিশ্চিত করতে ফ্যাশনহাউস গুলো নারীদের বটমস্টাইলে যুক্ত করছে সাইড পকেট, স্ট্যান্ডার্ড ফিট, ইলাস্টিকেটেড ওয়েইস্ট-লাইন, বেল্ট ও ট্যাসেল-কর্ড। বডিশেইপ অনুযায়ী বটমওয়ারের হেমলাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাদের কাঁধ চওড়া, তাদের জন্য বেল-বটমস, স্কার্টের মত বটমস মানানসই। অন্যদিকে ছোট কাঁধ বা আওয়ারগ্লাস শেপে স্কিনি জিন্স, স্ট্রেইটকাট প্যান্ট বা লেগিংস পরলেও দারুন দেখায়।
বিশ্বফ্যাশনে বটমস
বিশ্বফ্যাশনে ২০০০-এর দশকের ফ্যাশন ভাবনার নানা স্টাইল আবার ফিরে এসেছে এই দশকে। নারীদের বটমওয়ারে রাজত্ব করছে ট্রাউজার, পিন স্ট্রাইপ প্যান্ট,কার্গোর প্যান্ট, চামড়ার প্যান্ট, ওয়াইড লেগ জিন্স আর ডেনিম স্কার্ট।
২০২২ সালে নারীদের বটমওয়ার ফ্যাশনের বড় একটা জায়গা দখল করে ছিল ওয়াইড লেগ ট্রাউজার। চলতি বছরেও ব্যতিক্রম হয়নি। লুজ টপারের সঙ্গে বেশ মানিয়ে যায় ট্রাউজার। এছাড়া ব্যাগি ওয়াইড লেগ ট্রাউজারের কদর রয়েছে। এই আউটফিটটি আউটিংয়ের জন্য আদর্শ। নারীদের স্টাইলে স্মার্ট লুক যোগ করে ব্যাগি ওয়াইড লেগ ট্রাইজার। ব্যবসায়িক মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার সময় এটি হতে পারে আদর্শ আউটফিট। ক্লাসিক ফ্যাশনের অনুসঙ্গ পিন স্ট্রাইপ প্যান্ট। চলতি বছরেও রাজত্ব করছে এই ফ্যাশন অনুসঙ্গ। আউটিংয়ের জন্য নারীরা বেছে নিচ্ছেন কার্গো প্যান্ট, সেমি কার্গো প্যান্টেরও জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ট্রেন্ডি এবং গর্জিয়াস লুক আনতে চামড়ার প্যান্টের জুড়ি নেই। চলতি বছরের বিশ্ব ফ্যাশনিস্তারা এই প্যান্ট সাদরে গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে, এই মৌসুমে যেহেতু স্টাইলের সঙ্গে আরামকেও দেয়া হচ্ছে প্রাধান্য। সেই বিচারে নারীদের পছন্দের তালিকায় এগিয়ে রয়েছে ওয়াইড লেগ জিন্স। শুধু কী প্যান্ট? ডেনিমে তৈরি হচ্ছে স্কার্টও। লং, মিডি, মিনি, পেনসিল, ঢোলা ডেনিম স্কার্ট ও প্যান্টে নানা ডিজাইনের প্রিন্ট, সুতা বা পুঁতি চুমকির এমব্রয়ডারি আর প্যাচওয়ার্ক প্রাধান্য পাচ্ছে। নানা ডিজাইনের টপস, লং শার্ট, টি–শার্ট ম্যাচ করতে ডেনিমের প্যান্ট ও স্কার্টের আবেদন এখন বিশ্বজুড়ে।
দেশি বটমওয়ারের হালচাল
পুরোপুরি ফলো না করলেও বিশ্বফ্যাশনের ছোঁয়া লেগেছে বাংলাদেশেও। এই সময়ে বাংলাদেশেও দেখা যাচ্ছে বিশ্বমানের বটমওয়ার। তরুনীরা স্বচ্ছন্দে কামিজের সাথে পরছেন স্কার্ট। অফিসে ফর্মাল প্যান্টের বদলে দেখা যাচেছ পালাজ্জো বা হারেম প্যান্টের স্টাইলিং। চলুন দেখে নেয়া যাক ট্রেন্ড বদলে দেয়া দেশি বটমসগুলির আদ্যোপান্ত।
লা রিভের সেরা বটমওয়ারে চলছে সেরা অফার!
পালাজ্জো
আরামদায়ক প্যান্টের কথা আসলেই প্রথমেই পালাজ্জোর কথা বলতে হয়। এর আবেদন বেশ কয়েকবছর ধরেই তৈরি হয়েছে। নারীরা কিন্তু আগেও পালাজ্জো পরত। আর সেটাকেই আমরা বলতাম ঢোলা পায়জামা। ফ্যাশন ডিজাইনাররা নারীদের বটমসে অভিনবত্ব যোগ করতে গিয়ে সেই পায়জামাকেই নতুন স্টাইল আর ডিজাইনের আওতায় নিয়ে এসে পালাজ্জোতে পরিণত করেছেন।
যেকোন বয়সের নারী বটমস হিসেবে পালাজ্জো পছন্দ করতে কার্পন্য করেন না। কোমরের দিকে কিছুটা চাপানো আর পায়ের দিকে বেশ ছড়ানো হওয়ায় কুর্তি, কামিজ, টপস, লংশার্ট, টি-শার্টের সঙ্গে যেকোন অকেশনে মানিয়ে যায় পালাজ্জো।
একটু স্টাইলিশ পালাজ্জো চাইলে জাস্ট কাটিংয়ে সামান্য পরিবর্তন দরকার। প্যান্ট কাটিং পালাজ্জো পরে বেশ আরাম আবার স্টাইলও নিশ্চিত করে। বেল্ট দেওয়া থাকে, সহজে পরে নেওয়া যায়। প্যান্ট কাটিং পালাজ্জো প্যান্টের গুণসমৃদ্ধ বটমস। আজকাল ফাঙ্কশনালিটি বাড়াতে পালাজ্জোতেই পকেট জুড়ে নেয়া হচ্ছে।
পালাজ্জোর সবচেয়ে আপডেটেড ভার্সনের নাম স্কার্ট পালাজ্জো। দেখতে স্কার্টের মতো, কিন্তু ওপরের অংশে প্যান্টের মতোই কাট, শুধু নিচের ছাঁটটা স্কার্টের মতো ছড়ানো। যে কোন বয়সের নারীই এই পোশাকটি বেছে নিতে পারেন। হবু মায়েদের জন্য, কিংবা যাদের শরীর একটু ভারি, তাদের জন্য স্কার্ট পালাজ্জো রীতিমতো আদর্শ একটা পোশাক। আরামের পাশাপাশি পছন্দসই রঙ ও প্রিন্ট মেলাতে পারলে মনের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম এই স্টাইল।
হাইহিল, পেন্সিল হিল, ফ্ল্যাট জুতা যেকোন কিছুর সঙ্গেই পালাজ্জো মানিয়ে যায়। শুধু খেয়াল রাখতে হবে কোথায় যাচ্ছেন, সেখানে আপনার ব্যক্তিত্বের প্রতিনিধিত্ব করবে যেটি সেটি বেছে নিন।
হারেম প্যান্ট
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের কাছে হারেম প্যান্টের কদর বেশি। এই প্যান্ট সাধারনত ভিসকোস, সুতি, লিনেন বা সিল্ক ফেব্রিকে তৈরি হয়, তাই আরাম নিয়ে আলাদা করে চিন্তার কিছু নেই। ঠিকমতো টপ, কুর্তি বা শার্ট বাছাই করতে পারলে হারেম প্যান্ট’ই দিতে পারে সবচেয়ে ট্রেন্ডি ও কনফিডেন্ট লুক। নিজেকে সবার থেকে একটু অন্যভাবে উপস্থাপন করার জন্য নারীরা এই বটমওয়ার বেছে নিতে পারেন।
যতদূর জানা যায়, হারেম প্যান্টের প্রচলন শুরু করেছিলেন অ্যারাবিয়ানরা। ফ্যাশনের বিবর্তনে শহুরে সংস্কৃতিতেই এই ফ্যাশন বেশি জনপ্রিয়। যারা প্রচলিত ধারার বাইরে ফ্যাশন চিন্তা করেন, তারা রীতিমতো লুফে নিচ্ছেন এই প্যান্ট। এর উপযুক্ত কারন ও রয়েছে বৈকি। হারেম প্যান্টের কাট একটু ঢিলেঢালা, তাই এর সঙ্গে কুর্তি, টি শার্ট, শার্ট, টপস মানিয়ে যায়। হারেম প্যান্টের কাটিংয়ে খুব একটা বৈচিত্র নেই কিন্তু এর প্রিন্টের ধরন আলাদা আবেদন তৈরি করতে যথেষ্ট। স্ক্রিন প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট কিংবা লেইস ওয়ার্ক আর ব্লক প্রিন্টেও পাওয়া যাবে হারেম। শিক্ষার্থী আর অফিসগামী নারীরা হারেম প্যান্ট বেছে নিতে পারেন অনায়াসে। স্লিপার, জুতা কিংবা স্যান্ডেল, সামান্য উঁচু হিল হারেমের সঙ্গে ভালো মানায়।
লেগিংস
ফুলেল নকশাকার লেগিংস এখনকার ট্রেন্ড। এর সঙ্গে সেমি লং কিংবা শর্ট কামিজ বেশ মানায়। আবার কুর্তি-বিশেষ করে নিচের দিকে একটু ট্রেন্ডি কাট-ছাঁটের কুর্তি পরা যেতে পারে লেগিংস-এর সঙ্গে। লম্বা শার্টের সঙ্গে লেগিংস য়োগা বা ক্যাজুয়াল রিলাক্সড লুকের জন্য অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয়। তবে টপসের সঙ্গে লেগিংস এর রং বিপরীত হলেই ভালো। লেগিংসের সঙ্গে হিল ছাড়া জুতা কিংবা ফ্ল্যাট জুতা পরে নেওয়া যায়। স্লিপার জুতাও মানানসই।
কুলোটস
ক্রপ প্যান্টস’ই ফ্যাশনের প্রয়োজনে পেয়েছে কুলোটস নাম। ফরমাল অথবা ইনফরমাল দুই প্রয়োজনেই কুলোটস অপ্রতিদ্বন্দি। কুলোটস প্যান্টের মূল বৈশিষ্ট্য লুকে কনফিডেন্স নিয়ে আসার ক্ষমতা। আধুনিক নারীরা বটমসের রাজ্যে কুলোটসকে স্বাগত জানিয়েছে বেশ ভালোভাবেই। কর্পোরেট লুক আনতে কুলোটস দারুণ অনুসঙ্গ। ক্রপ টপের সঙ্গে সব থেকে ভালো মানায় এই পোশাকটি। এছাড়া টি-শার্টের সঙ্গেও পরা যায়। কুলোটসের সঙ্গে হাইহিল, কিটনে হিল বা ওয়েজ হিলের জুতো সবচেয়ে ভালো মানায়।
স্কার্ট
ফতুয়া কিংবা চোলি কাটের ব্লাউজের সঙ্গে অনায়াসে পরে নেওয়া যায় স্কার্ট। আবার আরামদায়ক টি-শার্টের সঙ্গেও মানানসই। বিশেষ করে যারা ঢিলেঢালা আরামদায়ক বটমওয়ার খোঁজ করেন তাদের জন্যই স্কার্ট। পায়ের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার জন্য প্লেন হিল, বেল্ট যুক্ত জুতা কিংবা ব্যালরিনা জুতা পরতে পারেন।
ফরমাল প্যান্ট
কর্মজীবি নারীর আত্মবিশ্বাসের আরেক নাম ফর্মাল প্যান্ট। এই বছর ট্রেন্ডে আছে প্লেইডেড ফর্মাল প্যান্ট। ফরমাল অনুষ্ঠানের জন্য প্লেইড প্যান্টের সঙ্গে ইন করে পরতে পারেন বোতামওয়ালা সাদা শার্ট। বাড়তি কনফিডেন্সের জন্য পরতে পারেন প্যান্টের সঙ্গে রঙ মেলানো ব্লেজার। উইন্টারের জন্য শার্ট নয়, বেছে নিতে পারে টিশার্ট, সাথে লেদার কিংবা ডেনিম জ্যাকেট। ফ্লাট জুতা কিংবা পেন্সিল হিল ফরমাল প্যান্টের সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়।
দরদাম
বিভিন্ন ধরণের বটমওয়ারে যেমন বৈচিত্র আছে, দরদামেও আছে ভিন্নতা। দামটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে কাপড়ের মান, নকশা আর ব্র্যান্ডের ওপর। বিভিন্ন ধরনের বটমওয়ার পাওয়া যায় রাজধানীর বনশ্রী, ধানমন্ডি, মিরপুর, উত্তরা, ওয়ারী, বেইলি রোড, যমুনা ফিউচার পার্ক, পুলিশ প্লাজা কনকর্ড এবং বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে।
লা রিভে সেরা ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে সেরা হারেম প্যান্টস!
নারীদের বটমওয়ারের বিশেষ পসরা সাজিয়েছে ফ্যাশন হাউসগুলো। যেকোন ফ্যাশন হাউসের অনলাইন শপ থেকেও কেনা যাবে পছন্দসই বটমস। ফেসবুক মার্কেটেও আজকাল বটমসের জন্য ডেডিকেটেড পেইজ তৈরি হয়েছে। তবে অনলাইন শপিংয়ে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডগুলির ওপরে ভরসা করাই ভালো। কোয়ালিটি বলে কথা!
ফেব্রিকের ভিত্তিতে বটমওয়ারের দাম কম বেশি হয়ে থাকে। ফ্যাশনেবল পালাজ্জো মিলবে ১০০০ টাকার মধ্যে, লেগিংস এর জন্য ৬০০ থেকে ৯৯৫ টাকা বাজেটে রাখতে পারেন। ডেনিম প্যান্ট ২০০০ টাকা, কুলোটস ১৩০০ টাকা। স্কার্ট ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে, অন্যদিকে ফরমাল প্যান্টের দাম নির্ভর করবে কাপড়ের ওপরে। আর হারেম প্যান্ট? ১০০০ থেকে ২০০০, ট্রেন্ড, ব্র্যান্ড ও কাপড়ের কোয়ালিটির ওপরে নির্ভর করে দাম ওঠানামা করবে এই রেঞ্জের মধ্যেই।
যেকোন পোশাকের মতোই বটমওয়ার বাছাইয়েও মনোযোগ প্রয়োজন। নিত্য ব্যবহারের জন্য লিনেন, ভিসকস, সুতি, জর্জেট ও নিট কাপড়ের বটমস বাছাই করা উচিত। এই ফেব্রিকের যত্ন নেয়াও সহজ। আবার পার্টি পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে, শিফন, লাইক্রা, জর্জেট অথবা ক্রেপকে প্রাধান্য দেয়া ভালো। সব বটমওয়ার ধোয়ার পদ্ধতি এক নয়। কিছু কাপড় ড্রাই ওয়াশ করতে হয়, কিছু সাধারন ওয়াশিং পাউডারে ধুলেই চলে। তাই বটমওয়ার ধোয়ার আগে ওয়াশিং ইন্স্ট্রাকশন অবশ্যই দেখে নেবেন।